top of page
Syed Waliullah, Lal Shalu
Cover by Abdur Raouf
Syed Waliullah, Lal Shalu
Original cover by Syed Waliullah
Syed Waliullah, Lal Shalu
Syed Waliullah, Lal Shalu
1948, Comrade Publishers 1st edition

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত প্রথম উপন্যাস হলো লাল সালু  কমরেড প্রকাশনী থেকে ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত হয়। আধুনিক বাংলা সাহিত্যে এটি একটি ধ্রুপদী গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত। উপন্যাসে বর্ণিত হয়েছে কিভাবে ঠক বা প্রতারক মজিদ তার গ্রামের সরল মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে গ্রামের একটি মাজার বা কবরের দৃশ্যত অংশ লাল সালু বা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়। এই লাল সালু সাধারণত সাধু-সন্ন্যাসী, পীর-ফকির বা এককথায় গ্রামের সাধারণ মানুষ যাদের আর দশজনের থেকে আলাদাভাবে সম্মানীয় মনে করে, তাদের কবর বা সমাধিস্থান ঢেকে দিতে ব্যবহার করা হয়।

গ্রামীণ মুসলিম জনজীবনকে উপজীব্য করে উপন্যাসটি মাহতাবনগর গ্রামের প্রেক্ষাপটে লেখা। ১৯৬৩ সালে এটি ফরাসি ভাষায় ‘লাহব সঁ হাসিনস’ (L’arbre sans racines) নামে প্রথম প্রকাশিত হয়। অনুবাদ করেছিলেন লেখকের স্ত্রী আন-মারি ওয়ালীউল্লাহ (Editions du Seuil-সিউইল সংস্করণ)।  ১৯৬৭ সালে উপন্যাসটি ইংরেজি ভাষায় ‘ট্রি উইদাউট রুটস’ নামে লেখক নিজেই অনুবাদ করেন। প্রকাশ করে শাত্তো অ্যান্ড উইন্ডুজ (Chatto and Windus) নামের একটি প্রকাশনা সংস্থা। এছাড়াও উপন্যাসটি উর্দু, আরবি, চেক, ইন্দোনেশীয়, জার্মান এবং জাপানী ভাষায় অনূদিত হয়ে প্রকাশিত হয়। অদ্যাবধি উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়ে চলেছে এবং ২০১৬ পর্যন্ত ‘ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সটবুক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর পাঠ্যতালিকার এটি একটি অংশ ছিল। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ‘লাল সালু’ উপন্যাসের জন্য ১৯৬১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন। 

Syed Waliullah, Lal Shalu
Syed Waliullah, Lal Shalu
Syed Waliullah, Lal Shalu
Syed Waliullah, Lal Shalu
Syed Waliullah, Lal Shalu
Syed Waliullah, Lal Shalu
Syed Waliullah, Lal Shalu
Syed Waliullah, Lal Shalu
Syed Waliullah, Chander Amaboshaya
Syed Waliullah, Night of No moon
Chander bangla
Original cover by Syed Waliullah

লেখকের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘চাঁদের অমাবস্যা’ রচিত হয় ১৯৬৪ সালে। প্যারিসে বসে তিনি লেখেন এটি। এই আখ্যানের ক্রেন্দ্রিয় চরিত্রে রয়েছে আরিফ আলী নামের এক যুবক। এই যুবক গ্রামে আসে শিক্ষকতার কাজে। একদিন একটি অপরাধ কাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে পড়েন তিনি; যেটা ঘটায় গ্রামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। অস্তিত্ববাদী সাহিত্যরীতি ব্যবহারের মাধ্যমে ওয়ালীউল্লাহ চরিত্রটির ভেতরের অন্তর্গত দ্বন্দ্ব এবং মনোলোকের তিক্ত সংগ্রাম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেছেন, যে দ্বন্দ্ব এবং সংগ্রাম শেষাবধি সত্যকে বার করে আনতে এবং বিচার অর্জনের জন্য যা করণীয় তা করতে প্রেরণা যোগায়। এই উপন্যাসে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ অর্জন করেন সেসময়েরর আকাঙ্ক্ষিত আদমজী সাহিত্য পুরষ্কার।বইটি ২০০৬ সালে আফিয়া দিল ‘নাইট অফ নো মুন’ শিরোনামে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। ওয়ালীউল্লাহ্র স্ত্রী আন-মেরি ওয়ালীউল্লাহ্ ‘লা লুন নোয়া’ (La Lune Noire) নামে ফরাসি ভাষায় বইটি অনুবাদ করেন, যা এখনো অপ্রকাশিত রয়ে গেছে।

Syed Waliullah, Kando Nadi Kando
Syed Waliullah, Cry River Cry
Kando nadi bangla
Original cover  by Syed Waliullah

তৃতীয় উপন্যাস ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ (Kando nadi Kando) ১৯৬৮ সালে প্যারিসে বসে রচনা করেছিলেন ওয়ালীউল্লাহ। ২০১৫ সালে ওসমান জামাল ‘ক্রাই রিভার ক্রাই’ (Cry River Cry)

The Ugly Asian, 2013
Syed Waliullah, The Ugly Asian
The ugly asian bangla

নামে উপন্যাসটি অনুবাদ করেন। ষাটের দশকের শেষদিকে লেখক ‘দ্য আগলি এশিয়ান (কদর্য এশীয়)’ নামে ইংরেজি ভাষায় একটি উপন্যাস লেখেন। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ১৯৬৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডব্লু. জে. লেদেরে এবং ই.বার্ডিক (১৯৫৮) রচিত ‘দ্য আগলি আমেরিকান (কদর্য মার্কিনী)’ উপন্যাসের প্রত্যুত্তর হিসেবে এটি রচনা করেন। উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে। উপন্যাসটিতে লেখকের নাম হিসেবে ‘আবু শরিয়া’ নামক একজনের কথা বলা হয়েছে। তিনি ‘কিভাবে শিম রান্না করতে হয় (হাউ টু কুক বিনস)’ বইটিতেও একই ছদ্মনাম ব্যবহার করেছিলেন। ২০১১ সালে শিবব্রত বর্মন বইটি বাংলায় অনুবাদ করেন। ২০১২ সালে শিবব্রত বর্মনের অনুবাদের পরপরই এটি লেখকের মরণোত্তর প্রকাশনা হিসেবে প্রকাশিত হয়। টাইপ করা এই পাণ্ডুলিপির উপর সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কিছু ছোটোখাটো স্কেচ করেছিলেন।

Syed Waliullah, How to cook beans
How to cook bangla

Cover by Qayyum Chowdhury

নামক একজনের কথা বলা হয়েছে। তিনি ‘কিভাবে শিম রান্না করতে হয় (হাউ টু কুক বিনস)’ বইটিতেও একই ছদ্মনাম ব্যবহার করেছিলেন। ২০১১ সালে শিবব্রত বর্মন বইটি বাংলায় অনুবাদ করেন। ২০১২ সালে শিবব্রত বর্মনের অনুবাদের পরপরই এটি লেখকের মরণোত্তর প্রকাশনা হিসেবে প্রকাশিত হয়। টাইপ করা এই পাণ্ডুলিপির উপর সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কিছু ছোটোখাটো স্কেচ করেছিলেন।

bottom of page